মুখে ব্রণ দূর করার উপায়: ঘরোয়া টিপস ও প্রোডাক্ট রিকমেন্ডেশন
আপনার ত্বকের সৌন্দর্য এক নিমিষেই নষ্ট করে দিতে পারে ব্রণ। আমাদের ত্বকের ভেতরে যেই তৈলগ্রন্থি রয়েছে সেটা যখন ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয় তখনই এর আকৃতি বৃদ্ধি পেয়ে ভেতরে পুঁজ হতে থাকে। আর এই পুঁজ থেকেই ধীরে ধীরে ব্রণের আকার ধারণ করে। মুখের ব্রণ দূর করতে আপনাকে অবশ্যই কিছু সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে এক পর্যায়ে এই ব্রণ থেকে মারাত্মক লেভেলের কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনি পেয়ে যাবেন ব্রণ দূর করার উপায় সহ, নানান ধরনের ত্বক সংক্রান্ত টিপস। তাহলে চলুন শুরু করা যাক বিস্তারিত।
মুখে ব্রণ হয় কেন?
মুখে ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আজকের আর্টিকেলের এই পর্যায়ে মুখে ব্রণ হওয়ার প্রধান কিছু কারণগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছিঃ
অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন: আমাদের ত্বকের ভেতরে থাকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি, এখান থেকে যখন অতিরিক্ত পরিমানে সিবাম তৈরি হতে থাকে তখন আমাদের ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। আর ঠিক তখনই অতিরিক্ত ব্রণের সৃষ্টি হতে থাকে।
মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ: বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো P. acnes. এগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই লোমকূপের ভেতরে প্রবেশ করে ফেলে এবং তারপর প্রবাহ সৃষ্টি করে। আর এতে করেই ব্রণ সৃষ্টি হতে থাকে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার: অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাপোড়া খাবার কিংবা ফাস্ট ফুড, আবার চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো খাবার কারণে অনেক ব্রণ হতে পারে।
ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া: ত্বক পরিষ্কার না করার ফলে ত্বকের ভেতরে অতিরিক্ত পরিমাণের মৃত কোষ সৃষ্টি হয়। আর এই সকল মৃত কোষগুলো ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। আর ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলেও ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন: মেয়েরা বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে শরীরের ভেতরের হরমোনের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই সকল পরিবর্তন গুলো হওয়ার কারণে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। ব্রণ হওয়ার জন্য এটি বড় একটি কারণ।
ত্বকের সঠিক যত্নের অভাব: আপনি যদি আপনার ত্বক প্রতিনিয়ত পরিষ্কার না করেন কিংবা ভুলভাল প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকেন তাহলেও ব্রণ হতে পারে।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শরীরে এমন অনেক হরমোন বৃদ্ধি করতে থাকে যা ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।
মুখে ব্রণ কমানোর উপায় – ঘরোয়া পদ্ধতি
ঘরোয়া উপায়ে কিছু উপাদান ব্যবহার করেও আপনি আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন। তাহলে চলুন এই পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কেঃ
আপেল এবং মধুর মিশ্রণ
ঘরোয়া উপায়ে মুখের ব্রণ দূর করার জন্য আপেল এবং মধুর মিশ্রণ সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায়। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে আপেলের পেষ্ট। এরপর কয়েক ফোটা মধু এতে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, দেখবেন এটি আস্তে আস্তে শুকিয়ে গেছে। যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখটি ধুয়ে নিন।
তুলসি পাতার রস
তুলসী পাতার রসের হয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং আয়ুর্বেদিক গুণাবলী। আর সেজন্য তুলসী পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখলে ব্রণ আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়।
মুলতানি মাটি
আপনার ত্বকে যখন অতিরিক্ত পরিমাণের তেলতেলে ভাবের দেখা দেয় তখনই ব্রণের সমস্যা বাড়তে থাকে। আর এই ব্রনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন মুলতানি মাটি। এক্ষেত্রে মুলতানি মাটিতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেই পেস্ট আলতোভাবে মুখে লাগিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ব্রণের সমস্যা ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারবে।
শশার রস, চালের গুঁড়া ও মধু
শসার রসের সাথে চালের গুড়া এবং মধু ব্যবহার করে একটা স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করবে। তার পাশাপাশি ব্রন কেও ধ্বংস করে দিবে।
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো
কখনো না কখনো নিশ্চয়ই শুনেছেন, কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো ব্রনের জন্য খুবই কার্যকরী এবং প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান। সমান পরিমাণের বেটে নেওয়া কাঁচা হলুদ এবং তার সাথে চন্দন কাঠের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটি হালকা পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে আপনার ব্রণ আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগিয়ে রাখুন। তারপর যখন দেখবেন এগুলো শুকিয়ে গেছে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটি আলতোভাবে ধুয়ে নিন। মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি এই মিশ্রনটি আপনার ব্রনের দাগও অনেকটাই হালকা করবে।
শশার রস
মুখে ব্রণ হলে সেটা কমানোর জন্য শসার রসও বেশ কার্যকরী। বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন যদি শসার রস দিয়ে মুখ ক্লিন করতে পারেন, তাহলে ব্রণের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকবেন।
ডিমের সাদা অংশ
যদি দেখেন আপনার মুখে ব্রণ হয়েছে তখন রাতে শোবার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গাটিতে ম্যাসেজ করে সারা রাতের জন্য রেখে দিন। দেখবেন ব্রনের আকার ছোট হয়ে গেছে। তবে এতে কিছু পুষ্টিগুণ থাকলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে কাঁচা ডিম থেকে সালমোনেলা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তাই, ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ব্রণ কমাতে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মুখে ব্রণ কমানোর উপায় – সেরা ৫ ধরনের প্রোডাক্ট!
ব্রণের চিকিৎসা শুধু ঘরোয়া উপায়ে সীমাবদ্ধ থাকলে সবসময় কার্যকর ফল পাওয়া যায় না। তাই ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী নির্ভরযোগ্য কিছু মেডিকেল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করাও জরুরি। নিচে আমরা তুলে ধরেছি তেমনই ৫টি প্রোডাক্ট যা ব্রণ কমাতে প্রমাণিতভাবে কার্যকর।
১. স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত ক্লিনজার (Salicylic Acid Cleanser)
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আপনার মুখের ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর একটি ক্লিনজার হতে পারে। এটি ত্বকের অনেক গভীরে গিয়ে লোমকূপ থেকে সকল মালা এক নিমিষেই পরিষ্কার করে দেয়। তার পাশাপাশি তকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেলগুলো পরিষ্কার করে দেয়। যার কারণে ব্রণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও কমে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত মুখে ব্রণ কমানোর জনপ্রিয় পণ্য:
- CeraVe Renewing SA Cleanser: এই পণ্যটি আপনার ত্বককে কোমল রেখে এবং শুষ্ক না করেই গভীর থেকে পরিষ্কার করে দেয়।
- Neutrogena Oil-Free Acne Wash: এতে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আপনার ত্বকের ব্রণ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে থাকে।
২. বেনজয়াইল পেরক্সাইড ট্রিটমেন্ট (Benzoyl Peroxide Treatment)
বেনজয়াইল পেরক্সাইড এমন একটি উপাদান যা আপনার ত্বকের ব্রণের সকল ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। তার পাশাপাশি লোমকূপকে বন্ধ হওয়া থেকেও রোধ করে থাকে। এটি খুব সহজেই সিস্টিক ব্রণ এবং তার সাথে প্রদাহযুক্ত ব্রণ কমানোর জন্যও বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বেনজয়াইল পেরক্সাইডযুক্ত মুখে ব্রণ কমানোর জনপ্রিয় পণ্য:
- Acne.org 2.5% Benzoyl Peroxide: এই প্রোডাক্টটি খুবই হালকা এবং কার্যকরী ভাবে ফর্মুলায় তৈরি করা হয়েছে। যা আপনার ত্বকের জ্বালা কমায় এবং ব্রণ থেকে স্বস্তি প্রদান করে।
- PanOxyl Acne Foaming Wash 10% Benzoyl Peroxide: আপনি যদি আপনার মুখের তীব্র ব্রণের জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান খুঁজে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট।
৩. রেটিনয়েড ক্রিম (Retinoid Cream)
রেটিনয়েড আপনার ত্বকের নতুন কোষ উৎপাদনে খুবই সাহায্য করে। তার সাথে লোমকূপ বন্ধ হওয়া থেকেও প্রতিরোধ করতে পারে। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং তার পাশাপাশি সিস্টিক ব্রণের সমস্যা গুলো কমাতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে। রেটিনয়েড এর ক্রিম গুলো সাধারণত রাতের বেলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রেটিনয়েডযুক্ত মুখে ব্রণ কমানোর জনপ্রিয় পণ্য:
- Differin Adapalene Gel 0.1%: এই পণ্যটি কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়। আর এটি ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট।
- La Roche-Posay Effaclar Adapalene Gel 0.1%: আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য এটি উপযুক্ত একটি রেটিনয়েড হতে পারে।
৪. নায়াসিনামাইড সিরাম (Niacinamide Serum)
ব্রণের কারণে তৈরি হওয়া ত্বকের প্রদাহ কমাতে নায়াসিনামাইড বিশেষভাবে উপযোগী। তার পাশাপাশি এটি আপনার ত্বকের লালচে ভাবও দূর করে। ব্রণের দাগ কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক।
নায়াসিনামাইডযুক্ত মুখে ব্রণ কমানোর জনপ্রিয় পণ্য:
- The Ordinary Niacinamide 10% + Zinc 1%: ব্রনের জন্য সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী একটি সিরাম।
- Paula’s Choice 10% Niacinamide Booster: আপনার ত্বকের টেক্সচার উন্নত করার জন্য এবং তার পাশাপাশি ব্রণ কমাতেও এটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
৫. হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার (Hydrating Moisturizer)
ব্রণের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে যেই পণ্যগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো ব্যবহারের সময় একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ভালো ফলাফল পাবেন না। আর সেজন্য এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া উচিত যেটি নন-কমেডোজেনিক। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার লোমকূপ বন্ধ করবে না।
মুখে ব্রণ কমানোর জনপ্রিয় পণ্য:
- CeraVe Moisturizing Lotion: হালকা এবং নন-কমেডোজেনিক একটি ময়েশ্চারাইজার। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই বিশেষ ভাবে উপযুক্ত।
- Neutrogena Hydro Boost Water Gel: তেল-মুক্ত হওয়ার কারনে ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
ব্রনের দাগ দূর করার টিপস!
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- ব্রন হলে তাতে হাত দেবেন না।
- ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
- রাতের বেলা রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
- পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান।
- সঠিক পরিমানে পানি খাবেন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
আরও পড়ুন – তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো? কার্যকরী ৫টি ফেসওয়াশ
প্রতিদিন মুখ ধোয়া কি ব্রণ কমাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ। প্রতিদিন ২ বার মুখ ধুলে ত্বকে জমে থাকা ধুলা, তেল ও মৃত কোষ পরিষ্কার হয়, যা রোমছিদ্র বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ব্রণের সম্ভাবনা কমায়।
ব্রণের দাগ কীভাবে দূর করা যায়?
ব্রণের দাগ দূর করতে ভিটামিন সি সিরাম, রেটিনয়েড ক্রিম, নায়াসিনামাইড সিরাম এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ত্বকচর্চা করলে ধীরে ধীরে দাগ হালকা হয়ে যায়।
ব্রণ কি শুধুমাত্র তেলতেলে ত্বকে হয়?
না। যদিও তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের ঝুঁকি বেশি, তবে শুষ্ক বা মিশ্র ত্বকেও হরমোন, খাদ্যাভ্যাস বা মানসিক চাপের কারণে ব্রণ হতে পারে।
মুখে ব্রণ হলে মেকআপ ব্যবহার করা ঠিক কি না?
মেকআপ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই non-comedogenic (রোমছিদ্র বন্ধ করে না এমন) পণ্য ব্যবহার করতে হবে এবং রাতে মেকআপ সম্পূর্ণভাবে তুলে ফেলা জরুরি।
কি ধরনের খাবার ব্রণ বাড়ায়?
বেশি চিনি, দুধজাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড ও ভাজাপোড়া খাবার হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ব্রণ বাড়াতে পারে।
শেষকথা
আশা করি আমাদের আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পর ব্রণ দূর করার উপায় সহ, নানান ধরনের ত্বক সংক্রান্ত টিপস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান পেয়েছেন। তাহলে আর দেরি না করে আজ থেকে আপনার ব্রণের চিকিৎসা শুরু করুন। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন এবং পাবেন খুব সুন্দর একটি ত্বক।